• বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
Headline
আগামী ৭ দিনে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অধিদফতর দেশের সবাই সমান: গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ মুন্সীগঞ্জ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নতুন কমিটি ঘোষণা রাষ্ট্র সংস্কার ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ার আহ্বান: নুরুল হক নুর টঙ্গিবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ডে পোলট্রি ফার্ম ও বসতঘর পুড়ে ছাই, ক্ষতি ৭ লাখ টাকা মুন্সীগঞ্জ আদালতে হাজতখানা লাইব্রেরি উদ্বোধন মাইকে ঘোষণা দিয়ে টঙ্গিবাড়ীতে মেছোবাঘ হত্যা, এলাকাবাসীর উল্লাস ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট মুক্ত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র প্রয়াত শ্রীনগরে শীত কালীন সবজি চাষে লাভবান কৃষক আমিরের রেকর্ড ভেঙে বিপিএলের ইতিহাস সেরা বোলিং তাসকিনের মুন্সিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় জামায়াত নেতা কারাগারে সিরাজদিখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে ইটভাটাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সিগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না শনিবার ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টি হবে : আবহাওয়া অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ বাসে দেওয়া হচ্ছে তরুণ-তরুণীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শ্রীনগরে পরিত্যক্ত পুকুর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার মেঘনা নদীতে বালু চোরাচালানের প্রতিবাদে মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জের আতঙ্কের অধ্যায়ের সমাপ্তি

আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই

Reporter Name / ৩০ Time View
Update : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

তিনজনের সংসার। এক দিন কাজে না গেলে ঘরে চুলা জ্বলে না, জোটে না মেয়ের পড়াশোনার খরচ। সংসারী মানুষটি ৪ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে ঘর থেকে কাজের জন্য বের হয়েছিলেন। কথা ছিল কাজ শেষে দুপুরে বাড়িতে ফিরবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিবারকে দেওয়া কথা তিনি রাখতে পারেননি। পরদিন বাড়িতে ফিরেছেন লাশ হয়ে।

গত ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন রিয়াজুল ফরাজী (৩৮) নামের ওই ব্যক্তি। তিনি মুন্সিগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা, পেশায় শ্রমিক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে রিয়াজুল ফরাজীর স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, ওই দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে প্রাণ হারান রিয়াজুল। তিনি বলেন, ‘খুব অল্প বয়সে আমাগো বিয়া হইছিল। আমি নিজে হার্টের রোগী। একটা মাইয়া ধারদেনা কইরা বিয়া দিছি। আরেক মেয়ে (খুকু আক্তার) দশম শ্রেণিতে পড়ে। আমার ওষুধের খরচ, মেয়ের পড়ার খরচ, সংসারের খরচ চালাইতে যখন যে কাজ পাইত, তা–ই করত (রিয়াজুল)। কখনো অলস বইসা থাকত না।’

একটু থেমে আক্ষেপের সুরে রুমা আবার বলতে শুরু করেন, ‘সেদিন (৪ আগস্ট) বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় (রিয়াজুল) বলেছিল, ‘‘চিন্তা করিস না, আমাগো কষ্ট বেশি দিন থাকব না। আমি কাজে গিয়া টাকা জমামু। তর ওপারেশন করামু। তুই সুস্থ হইয়া যাবি। মাইয়ারে মেট্রিক পাস করাইয়া ভালা পোলা দেইখা বিয়া দিমু…।’’’ কথাগুলো পুরোপুরি শেষ করতে পারলেন না রুমা। বারবার কান্না চেপে বসছিল গলায়। একপর্যায়ে সশব্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

-সংগৃহীত


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা