• সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
Headline
মুক্তারপুর সেতুর টোল কমানোর দাবি মুন্সিগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান মুন্সিগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিলেন তারেক রহমান তৃতীয়বারের মত মুন্সিগঞ্জে আন্দোলনে নিহত ৩ পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে প্রশাসন ফেরিঘাট থেকে চাঁদা তোলায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে বরণ করা হলো শান্তদের মুন্সিগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ চোখে কাজল, লেন্স ও আইশ্যাডো ব্যবহারের আগে জেনে নিন এই ৭ বিষয় আলু–পেঁয়াজের শুল্ক কমিয়েছে এনবিআর শেষ পর্যন্ত বাতিল হচ্ছে এমপিদের ‘ইচ্ছে পূরণের প্রকল্প’ নতুন রানি পেল নিউজিল্যান্ডের মাওরিরা সাবেক সংসদ সদস্যদের ‘গাড়িবিলাস’: ব্যারিস্টার সুমন কিনেছেন সবচেয়ে দামিটি, দ্বিতীয় সাকিব ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ অধীন নির্বাচনের পরামর্শ দিয়ে পদত্যাগ করলেন হাবিবুল আউয়াল ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ১৯৮ বিশ্বনেতার শহীদ পরিবারের দায়িত্ব সরকারের : উপদেষ্টা নাহিদ উপাচার্যের পদত্যাগ ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ফের হামলার ভয়ে হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে পারেনি সাইফুল কৃষিজমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবিতে জমির মালিকদের বিক্ষোভ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তার আহ্বান সিরাজদিখানে চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করায় হামলা আহত ৩জন, থানায় অভিযোগ

আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই

Reporter Name / ৬ Time View
Update : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

তিনজনের সংসার। এক দিন কাজে না গেলে ঘরে চুলা জ্বলে না, জোটে না মেয়ের পড়াশোনার খরচ। সংসারী মানুষটি ৪ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে ঘর থেকে কাজের জন্য বের হয়েছিলেন। কথা ছিল কাজ শেষে দুপুরে বাড়িতে ফিরবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিবারকে দেওয়া কথা তিনি রাখতে পারেননি। পরদিন বাড়িতে ফিরেছেন লাশ হয়ে।

গত ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হন রিয়াজুল ফরাজী (৩৮) নামের ওই ব্যক্তি। তিনি মুন্সিগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা, পেশায় শ্রমিক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে রিয়াজুল ফরাজীর স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, ওই দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে প্রাণ হারান রিয়াজুল। তিনি বলেন, ‘খুব অল্প বয়সে আমাগো বিয়া হইছিল। আমি নিজে হার্টের রোগী। একটা মাইয়া ধারদেনা কইরা বিয়া দিছি। আরেক মেয়ে (খুকু আক্তার) দশম শ্রেণিতে পড়ে। আমার ওষুধের খরচ, মেয়ের পড়ার খরচ, সংসারের খরচ চালাইতে যখন যে কাজ পাইত, তা–ই করত (রিয়াজুল)। কখনো অলস বইসা থাকত না।’

একটু থেমে আক্ষেপের সুরে রুমা আবার বলতে শুরু করেন, ‘সেদিন (৪ আগস্ট) বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় (রিয়াজুল) বলেছিল, ‘‘চিন্তা করিস না, আমাগো কষ্ট বেশি দিন থাকব না। আমি কাজে গিয়া টাকা জমামু। তর ওপারেশন করামু। তুই সুস্থ হইয়া যাবি। মাইয়ারে মেট্রিক পাস করাইয়া ভালা পোলা দেইখা বিয়া দিমু…।’’’ কথাগুলো পুরোপুরি শেষ করতে পারলেন না রুমা। বারবার কান্না চেপে বসছিল গলায়। একপর্যায়ে সশব্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

-সংগৃহীত


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা