উপজেলার বেজগাঁও ইউনিয়নের বেজগাঁও গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের বাবুর বাড়ি-সংলগ্ন প্রাইমারি স্কুলের উত্তর পাশের পশ্চিম অংশে বসবাস করে সাতটি পরিবার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই সাত পরিবারের বের হওয়ার রাস্তায় দীর্ঘ ৯ বছর আগে দেয়াল নির্মাণ করেন একই এলাকার হৃদয় বেপারী। এরপর উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ তোলেন ওই সাত পরিবারের একজন রুবেল ও তার গংরা।
ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন দাবি করে, জোর করে জায়গা দখল করে দেয়াল দিয়েছিলেন হৃদয় বেপারী। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কয়েকটি পরিবারের রাস্তায় দীর্ঘদিন দেয়াল তৈরি করে রাখা হয়। তাদের প্রবেশ ও বের হয়ে চলাচলের সহজ কোনো রাস্তা ছিল না। অনেকটা সড়ক ঘুরে বর্ষায় নৌকা দিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়া লাগত তাদের। যার কারণে ওই স্থানে বসবাস করা কয়েকটি পরিবার কষ্টে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করে। জাপান প্রবাসী হৃদয় বেপারী সে নিজের ক্রয়কৃত জায়গা দাবি করে রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণ করেন। উভয়পক্ষ বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বসলেও এর কোনো সমাধান হয়নি। বিগত সরকার বিদায় নেওয়ায় এখন ভুক্তভোগী ওই পরিবারগুলো এলাকাবাসীর সহায়তায় দেয়াল ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ ও বের হওয়ার রাস্তা তৈরি করেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের একজন মো. বিদ্যুৎ খান বলেন, আমি প্রবাসী হৃদয় বেপারীকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে বলেছি, ভাই দেওয়াল ভেঙে বাড়িতে যাওয়া-আসার রাস্তা করে দেন। এর জন্য যত টাকা খরচ হয় আমি নিজে দেব। তিনি আমার কথা শোনেননি। তিনি বারবার একই কথা বলেন—‘এটা আমার জায়গা’। এই রাস্তার জমি আমাদের বলে দাবি করেন বিদ্যুৎ খান।
প্রবাসী হৃদয় বেপারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আল্লাহতায়ালা আমাকে অনেক অর্থ-সম্পদ দিয়েছেন। আমি অন্যের জমি দখল করিনি। যে স্থানে দেয়াল করা হয়েছে, এটি আমার নিজের জমি, তাদের (ওই সাত পরিবার) রাস্তা এটা না। আমরা দু-এক দিনের মধ্যেই কাগজপত্র নিয়ে বসব, যদি তাদের জমি হয় তহালে আমি ছেড়ে দেব। তবে আমার দেয়াল ভাঙাটা দুঃখজনক। শিগগিরই বসে একটি সমাধান করা হবে।
এ ব্যাপারে বেজঁগাও ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল মোল্লা বলেন, হৃদয় বেপারী দেয়াল দিলেও এর ভেতর দিয়ে বের হওয়ার মতো রাস্তা ছিল। এখন আমি জেনেছি, রুবেল ও তার ভাইয়েরা মিলে দেয়াল ভেঙে বড় রাস্তা তৈরি করেছে।
-সংগৃহীত