প্রতিদিন সকালের নাস্তায় দুটি ডিম রাখলে কোন কোন পুষ্টি উপাদান পাবেন?
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন বলছে, একটি ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতিদিন দুটি ডিম খেলে মানুষের দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদার অনেকটুকুই পূরণ হয়ে যায়। ডিমের পাশাপাশি প্রোটিনের অন্যান্য উৎস যেমন ডাল, মাছ ও মাংসও রাখুন খাদ্য তালিকায়।
দৃষ্টিশক্তি, ত্বক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখে ভিটামিন এ। এছাড়া কোষের বৃদ্ধিতেও এই ভিটামিনের ভূমিকা রয়েছে। দৈনিক ৩ হাজার আইইউ ভিটামিন এ প্রয়োজন হয় একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের। দুটি সেদ্ধ ডিম থেকে ৫৪০ আইইউ ভিটামিন এ পাওয়া যায়।
দুটি সেদ্ধ ডিমে ৮২ আইইউ ভিটামিন ডি রয়েছে। ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করার পাশাপাশি আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই ভিটামিনের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন হয়।
ভিটামিন বি-১২ বা কোবালামিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। লোহিত রক্তকণিকা তৈরি, ডিএনএ সংশ্লেষণ, স্নায়বিক ফাংশন এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি-১২। দুটি সেদ্ধ ডিম খেলে ১.৬ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। মানুষের প্রতিদিন ২ মাইক্রোগ্রামের বেশি প্রয়োজন এই ভিটামিন।
সুস্থ ত্বক ও চোখের জন্য মানুষের ভিটামিন বি-২ প্রয়োজন। এছাড়া চর্বি, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট বিপাকেও প্রয়োজন হয় এই ভিটামিন। সেদ্ধ ডিমে ০.৬ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি-২ পাওয়া যায়। এই ভিটামিন প্রতিদিন ১.৩ মাইক্রোগ্রাম প্রয়োজন আমাদের সুস্থতার জন্য।
প্রতিটি সেদ্ধ ডিমে ২৪ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট থাকে। দেহের ডিএনএ এবং আরএনএ তৈরির জন্য ফোলেটের প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি কোষ বিভাজন এবং রক্তকণিকার পরিপক্কতার জন্যও এটি প্রয়োজন।
দুটি সেদ্ধ ডিমে ২৮ মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম থাকে। সেলেনিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আমাদের প্রতিদিন ৫৫ মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম প্রয়োজন।
প্রতিদিন দুটি সেদ্ধ ডিম খেলে আমাদের দৈনন্দিন কোলিনের চাহিদার অর্ধেকই পূরণ করা সম্ভব। কোলিন আমাদের মস্তিষ্ক ও লিভারের সুস্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দুটো সেদ্ধ ডিমে ১.২ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। আয়রন লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিনের অংশ গঠন করে। হিমোগ্লোবিন রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন পরিবহন করে।
জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা আমাদের কোষগুলোকে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ডিএনএ নামক জেনেটিক উপাদান তৈরি করতে সাহায্য করে। খনিজটি ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে, ঘ্রাণ ও স্বাদের অনুভূতিতে সহায়তা করে এবং শিশুর বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। দুটি সেদ্ধ ডিমে ১.১ মিলিগ্রাম জিংক পাওয়া যায়। আমাদের প্রতিদিন ১১ মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন।