যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রচারাভিযান চলাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে সক্ষম হবেন। বিজয়-পূর্ব ভাষণেও তিনি বলেন, ‘আমি কোনও যুদ্ধ শুরু করবো না, আমি যুদ্ধ থামাবো।’ প্রচারণায় তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, নির্বাচনে তিনি হারলে ইসরায়েল ‘নষ্ট’ হয়ে যাবে। এছাড়া চীনা আমদানির ওপর ব্যাপক নতুন শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। আর এসব নিয়েই চিন্তিত পুরো বিশ্ব। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এখন ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন। দেশ-বিদেশে এখন একটি জরুরি প্রশ্ন উঠেছে: তিনি কি তার পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কিত দীর্ঘ তালিকার হুমকি, প্রতিশ্রুতি এবং ঘোষণা বাস্তবে রূপায়ণ করবেন?যদিও বিদেশ নীতির ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি ট্রাম্প। তবে তার সমর্থকদের মতে, ট্রাম্পের ব্যক্তিত্ব এবং দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বনেতাদের তার কাছাকাছি আনবে এবং আগুনে পোড়া বিশ্বকে শান্ত করবে।
তবে আমেরিকার বন্ধু ও শত্রুরা উভয়ই সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ট্রাম্পের অনুসারীরা জানুয়ারিতে অফিসে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন। তারা ভাবছেন, দ্বিতীয় মেয়াদও তার প্রথম চার বছরের মতো অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তাপূর্ণ হবে কিনা?
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি অনেক সময় বিশ্বমঞ্চে তার ‘আমেরিকা প্রথম’ সুরক্ষাকেন্দ্রিক বাণিজ্যনীতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বক্তব্য দ্বারা চিহ্নিত হয়েছিল। এর মধ্যে ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি অন্যতম।