নোবলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দায়িত্বের দুই মাস পূর্ণ করতে চলেছে। এই সময়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে অন্তর্বর্তী সরকারের বড় অর্জন হিসেবে মনে করা হয়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ড. ইউনূসের বিরল বৈঠককে। কেননা, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের টানাপোড়ন ছাপিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস মিলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে।
তবে এই সময়ে নিকট প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে যে টানাপোড়ন তৈরি হয়েছে সেটি কমিয়ে সুসম্পর্কে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সুসম্পর্ক দৃশ্যমান হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র দিয়ে প্রথম বিদেশ সফর শুরু করেন ড. ইউনূস। গত তিন দশকে জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের কোনো শীর্ষ নেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বৈঠক হয়নি। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনায় দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের তেমন নজির নেই। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমন বিরল ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ড. ইউনূসকে কাছে পেয়ে বুকে টেনে নেন। হাতে হাত রেখে বলেন, বাংলাদেশের সংস্কারের যে লক্ষ্য নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ঠিক করেছেন, তাকে বাস্তবে রূপ দিতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে হোয়াইট হাউস।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে মাত্র চারদিনের সফরে বাংলাদেশের সরকার প্রধান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ ১২টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সাইডলাইনে ৪০টি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও অংশ নেন।
-সংগৃহীত