রোববার (১৩ এপ্রিল) দেওয়া এক বার্তায় পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
বার্তায় তিনি বলেন, “শুভ নববর্ষ ১৪৩২”। এই বিশেষ দিনে আমি সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। বাংলা নববর্ষ বাঙালির জন্য শুধু ক্যালেন্ডারের পালাবদল নয়, বরং এটি একতা ও মিলনের এক বিশেষ উপলক্ষ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালিই এই দিনটি নতুন স্বপ্ন ও অঙ্গীকার নিয়ে উদ্যাপন করে থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “নববর্ষের উৎসব মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব আর আনন্দের বাতাবরণ সৃষ্টি করে। সবাই পুরনো বছরের কষ্ট, দুঃখ আর হতাশা পেছনে ফেলে নতুন আশায় পথচলা শুরু করে।”
প্রধান উপদেষ্টা স্মরণ করিয়ে দেন, “মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের সূচনা হয়। কৃষির সুবিধার্থে তিনি বাংলা সনের প্রবর্তন করেন, যা ‘ফসলি বছর’ নামে পরিচিত ছিল। এ ঐতিহ্য সময়ের সঙ্গে একটি সার্বজনীন ও ধর্মনিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।”
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “নতুন বছরের শুরুতে আসুন আমরা আগের বছরের বেদনাকে পেছনে রেখে সামনে এগিয়ে যাই নতুন আশা আর প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে। ২০২৪ সালের গণআন্দোলন আমাদের বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার দ্বার উন্মোচন করেছে। এটি আমাদের একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উদ্দীপনাময় ভবিষ্যতের পথে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।”
বার্তার শেষে, তিনি নববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত সব আয়োজন ও কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।