জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে সাত দলের আন্দোলনের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত নয় বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, এনসিপি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এগোবে এবং আপাতত কোনো বড় দলের সঙ্গে জোটে যাওয়ার চিন্তা করছে না।
তিনি বলেন, নিম্নকক্ষে নয়, বরং কেবল উচ্চকক্ষেই পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) চান তারা। একই সঙ্গে এখনো সম্পূর্ণভাবে ঐকমত্য কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নামার সময় আসেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম মনে করেন, বর্তমানে যেসব আন্দোলন চলছে, সেগুলো সমস্যার পূর্ণ সমাধান দিতে পারবে না। প্রকৃত সমাধান হতে পারে গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে। এজন্য গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান তিনি।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক ঝটিকা মিছিল প্রসঙ্গে নাহিদ অভিযোগ করেন, দলটি রাষ্ট্রযন্ত্রের আশকারা পাচ্ছে বলেই এমন তৎপরতা চালাতে পারছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এনসিপি কোনো আপস করবে না এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার শুরু হওয়া উচিত।
এছাড়া জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদের সহযোগী দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা ও জি এম কাদেরসহ নেতাদের বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
দিনব্যাপী সমন্বয় সভায় এনসিপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। অক্টোবরের মধ্যে প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় তিনটি বার্তা দেওয়া হয়—গণপরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাংগঠনিক প্রস্তুতি নেওয়া, আওয়ামী লীগ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং এক মাসের মধ্যে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সাংগঠনিক বিস্তার ঘটানো।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীবসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা।







