মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে পানি বাড়ার খবরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৭টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র। তবে আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
আজ সারাদিন জোয়ার-ভাটার প্রভাবে মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে অতিবাহিত হয়। কখনো নিচেও নামে। তবে এটি ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ার মত আশঙ্কার নয় বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলার অন্য নদী খাল-বিলে পানি বাড়লেও সেটি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত গজারিয়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবু বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার জানিয়েছেন, মেঘনা নদীতীরবর্তী হোসেন্দি ইউনিয়নের ইসমানিচর এলাকায় পানি বেড়ে কিছু রাস্তাঘাট ডুবে আছে। তবে ঘরবাড়িতে ঢোকেনি।’
এছাড়া গজারিয়া উপজেলায় বন্যার আশঙ্কা থাকায় মানুষের জানমাল রক্ষা ও যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম চালু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
কন্ট্রোল রুমের সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাম্মি কায়সারকে (০১৭৬২৬৮৭২৬৭)।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মুন্সিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে মেঘনা সেতু এলাকায় পানির উচ্চতা বীপৎসীমার উপরে উঠে। আজ সারাদিন পানির উচ্চতা বেশি ছিলো। তবে এটি আশঙ্কাজনক বা ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার মত নয়। এ নিয়ে আপাতত দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’