মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের একটি জনবহুল এলাকায় রাতের আধারে অবৈধভাবে তার পুড়িয়ে তামা ও লোহা বাহির করা হচ্ছে। জানা গেছে কুমারভোগ ৬ নম্বর ওয়ার্ড, পদ্মা বেলীর, ক্রয়কৃত একটি জায়গায় এই অবৈধ কাজটি করে আসছে। চোরাই কিত তার পোড়ানো হচ্ছে জনবহুল এলাকায় যার ফলে মারাত্মক ভাবে বায়ু ও পরিবেশ দূষণ ঘটছে। মোঃ হাসান (২৮) নামে এক ব্যক্তি এই অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তার পুড়িয়ে তামা ও লোহা বের করে ঢাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।এতে করে আশপাশের গাছপালা, পশুপাখি, এমনকি পানির উৎসও দূষিত হচ্ছে।পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি মারাত্মকভাবে রূপ নিচ্ছে।স্থানীয়রা জানান এই প্রক্রিয়ার ফলে নির্গত ধোঁয়ায় আশপাশের এলাকার মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঘটনাস্থলের পাশে রয়েছে ৪৮ নম্বর উত্তর কুমারভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উত্তর কুমারভোগ মহিলা মাদ্রাসা। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানান প্রতিদিন রাতের বেলায় এই কর্মযজ্ঞ শুরু করলে পুরো এলাকা ধুয়ায় কালো হয়ে যায় এবং আমাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন আমরা সকাল বেলায় স্কুলে আসলে বাতাসের সাথে একটা পোড়া গন্ধ পাই এতে আমাদের দম বন্ধ হয়ে আসে।স্থানীয় বাসিন্দা রনি বেপারী ও মোঃ সেলিম বেপারী বলেন,”কালিতে দম ছারতে পারি না, বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।”ভুক্তভোগীদের প্রতিবাদ ও দুর্বিষহ অবস্থা,ভুক্তভোগীরা থানায় একাধিকবার অভিযোগ করে ও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানান।স্থানীদের অভিযোগ প্রশাসনের নীরবতার কারনে অবৈধ ভাবে কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে হাচান ও তার লোকজন। তারা আরো জানান হাসানের সাথে মো. সোহেল, আলমগীর, মো. মাজেদসহ আরও কয়েকজন এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।স্থানীয় মেম্বার মোঃ কালাম হোসেন ও বিএনপি সাবেক নেতা মোঃ পশিপ বলেন আমরা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওরা যেহেতু গরিব মানুষ ওদের ঈদ পর্যন্ত সময় দিয়েছি যাতে ওরা এই কাজটি আর না করে।অপরদিকে মানবতার কন্ঠের গোপন তদন্তের ভিত্তিতে জানা যায় প্রতি চালানে ২২/২৩ লক্ষ্য টাকার মাল ক্রয় বিক্রয় করা হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপির নেতা মোঃ শিপন ও তার ভাই কালাম মেম্বারের প্রভাব দেখিয়ে এখনো তারা নির্বিঘ্নে অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের একাধিক গোডাউন রয়েছে। অবৈধভাবে সংগ্রহ করা পুরাতন তার মৌছরা মসজিদের নিচে গোডাউনে সংরক্ষণ করা হয়। পরে তা পুড়িয়ে তামা বাহির করে চন্দ্রের বাড়ি গোডাউনে রাখা হয়।এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত এই অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায়, পুরো এলাকার পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং স্থানীয়দের স্বাস্থ্যঝুঁকি চরম আকার ধারণ করবে।