মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক, ইরান ও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা ইসরায়েল-তুরস্ক সম্পর্ক এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) নিয়েও কথা বলেছেন। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি ঘোষণার পর এটি ছিল প্রথম কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে তার বৈঠক।বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাদের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ ছিল। ওভাল অফিসে বৈঠকের পর নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।”ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করার কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, আলোচনা আগামী শনিবার থেকে শুরু হবে। তিনি বলেন, “যদি আলোচনা সফল না হয়, তাহলে ইরান বিপদে পড়বে।” তিনি আরও বলেন, “ইরান কখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না।” যদিও ইরান মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আলোচনা চায়, তবে ট্রাম্প সরাসরি আলোচনা করতে চান, যা হয়তো চুক্তিতে পরিণত হতে পারে। যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তাহলে ট্রাম্প বলেন, “ইরান ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে পড়বে।”নেতানিয়াহু বলেন, “আমার বিশ্বাস আলোচনা ভালো হবে, তবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে ইরানের কাছে পরমাণু অস্ত্র না পৌঁছায়।”গাজা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের আগে, ট্রাম্প ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফত্তাহ এল-সিসি ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। মাক্রোঁ গাজায় থাকাকালীন সেখানে হামাসের ভূমিকা ছাড়া ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে গাজার শাসন পরিচালনার কথা বলেন।এদিকে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় সাংবাদিকদের একটি তাঁবুতে বোমা পড়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। ছয়জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের সদস্য আব্দেল ফত্তেহ মোহাম্মদ আসলিহ। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ।