মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে, যেখানে প্রথমে গর্ভের সন্তান এবং পরে সিজারের মাধ্যমে মৃত নবজাতককে বের করার সময় মা রাবেয়া (২৫) মারা যান। তিনি আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং আরিফ শেখের স্ত্রী।
পরিবার জানায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় গর্ভবতী রাবেয়াকে নিয়মিত চেকআপের জন্য টঙ্গীবাড়ি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে গাইনী চিকিৎসক ডা. জেসমিন জাহান অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন এবং দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সিজারের জন্য সময় নির্ধারণ করেন।
পরিবারের অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর রাবেয়াকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। ইনজেকশন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থা দ্রুত খারাপ হয়ে যায়, তিনি অচেতন হয়ে যান। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রামে দেখা যায়, গর্ভের শিশু মারা গেছে। মঙ্গলবার রাতে মৃত নবজাতককে ডেলিভারি করা হয়। এরপর রাবেয়ার অবস্থা আরও অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় বোন ফাতেমা অভিযোগ করেন, ক্লিনিকের অবহেলা ও চিকিৎসকদের ভুলের কারণে তাদের বোন ও সন্তান প্রাণ হারিয়েছে এবং তারা এই ঘটনার সঠিক বিচার চায়।
ক্লিনিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোগীর অবস্থা খারাপ দেখেই তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছিল। ডা. জেসমিন জাহান বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ডা. কামরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। ডা. কামরুল হাসান জানান, রোগী সিজারের জন্য ওয়েটিং রুমে রাখা হয়েছিল, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ক্লিনিকে তারা কোনো চিকিৎসা দেননি।