ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে মুক্তারপুর সেতুতে টোল উঠানো কোন পর্যায়ে আছে কিংবা এটি কমিয়ে আনা বা পুরোপুরি বন্ধ রাখা যায় কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন মুন্সিগঞ্জের নতুন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত।
আজ রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান জেলা প্রশাসক। গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা জেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর প্রশাসনের করণীয় বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। পরে জেলা প্রশাসক উত্থাপিত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার আশ্বাস দেন।
বিষয়গুলোর মধ্যে ছিলো- পাসপোর্ট অফিস, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকসহ প্রবাসী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম বন্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, মুক্তারপুর-নারায়ণগঞ্জ ও মুক্তারপুর-মাওয়া রুটে চলাচলকারী সিএনজিগুলোর ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও নৈরাজ্য বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া, ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রমকে গতিশীল করা, মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া ফেরি সার্ভিস পুনরায় চালু করা, শহরের ভাঙাচোরা সড়কগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার, গণসদন পুনঃনির্মাণ ও শহরে বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ করা, আসন্ন আলু মৌসুমে চরাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বৃদ্ধি ও সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা, মেঘনা-পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন ও তালতলা-গৌরগঞ্জ খালে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করা, জেলার প্রত্নত্বত্ত্ব নির্দশনগুলো সংস্কার করে পর্যটন বান্ধব করে তোলা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে মাঠ পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তৈরির উদ্যোগ নেয়া, ধলেশ্বরী নদীতে জাহাজ-লাইটারের যত্রতত্র নোঙর রোধে ব্যবস্থা নেয়া, মোল্লাবাজার সেতু নির্মাণ কাজে তাগাদা দেয়া ও মুন্সিগঞ্জ শহরে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।
মতবিনিসয় সভায় মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাছির উদ্দিন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক সুজন হায়দার জনি, সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, শহীদ-ই-হাসান তুহিন, রাসেল মাহমুদ, কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু, আমার বিক্রমপুরের সম্পাদক শিহাব আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।