শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কখনোই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালে প্রথমবার ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু হয়েছিল শারজাতে। আজকের (বুধবার) ম্যাচের আগে আরও চারটি ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হারের ইতিহাস আছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল। ২৯ বছর পর বুধবার (৬ নভেম্বর) আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেও একই হাল। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শারজার ঐতিহাসিক মাঠে এই ভেন্যুর ৩০০তম ম্যাচে ৯২ রানের বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় একের পর এক ম্যাচ হারছে বাংলাদেশ দল। চলতি বছর খুব বাজে সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে আশা করা হচ্ছিল, নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে খেলতে নেমে দৃশ্যপট হয়তো পাল্টে যাবে, কিন্তু কিছুই বদলালো না। ৮ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা আফগানদের বিপক্ষে বড় ধরনের হোঁচট খেলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের দারুণ বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে ২৩৫ রানে বেঁধে ফেলার পরও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এই পরিণতি।
আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৩৬ রান খুব কঠিন কোনও লক্ষ্য নয়। দলীয় ১২ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও শুরুটা একেবারে খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার মিলে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৫৪ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে আউট হন সৌম্য। দেখেশুনে খেলতে থাকা সৌম্য হুট করেই যেন মনোযোগ হারিয়ে ফেললেন। সৌম্যর বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন অধিনায়ক শান্ত।
কিন্তু হুট করেই মাথায় ভূত চাপলো শান্তর! মোহাম্মদ নবীর অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি বেশ দূর থেকে সুইপ করার চেষ্টা করতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দিলেন। তিনবারের চেষ্টায় বল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হাশমাতউল্লাহ শাহিদি বাংলাদেশের অধিনায়কের বিদায় নিশ্চিত করেন। ১২০ রানের মাথায় শান্ত বিদায় নেওয়ার পরই মূলত মোড়ক লেগে যায়। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহও আনাড়ি শট খেলে আউট হয়েছেন।
রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী কিংবা ফজল হক ফারুকীকে পড়াশোনা করে এসেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। কিন্তু পরীক্ষা দিতে হলো আফগান স্পিনার মোহাম্মদ গজনফরের বিরুদ্ধে। সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন পেয়েই বোধ হয় গড়বড় করে ফেললেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা!