সাভারে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬৫ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হেলাল উদ্দিন ও শরিয়ত উল্লাহ শাওন এবং র্যাব ১০ সিপিসি ২ এর সদস্য ফরিদ, মিজান ও মুকিদুল। এছাড়া ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস চালক কবির হোসেনকেও আটক করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার জানিয়েছেন, অভিযান এখনো চলছে এবং শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে। ঘটনার সময়, গত ৭ নভেম্বর সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে শ্রীনগর উপজেলার রানিখাল ইউনিয়নের তিন দোকান বাজারের কাছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আকাশ অসীমের কাছ থেকে আটকরা ‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয় দিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নেয়।
তদন্ত শুরু হতেই মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের অন্তত ৫০টি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয় এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস শনাক্ত করা হয়। পরে সাভারে অভিযান চালিয়ে চালক কবির হোসেনকে আটক করা হয় এবং মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। তদন্তে ধাপে ধাপে আটক করা হয় দুই গোয়েন্দা পুলিশ ও তিন র্যাব সদস্যকে। আটক ব্যক্তিদের গোপনীয়তার সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের পদ্মা উত্তর থানায় রাখা হয়েছে।
র্যাবে কর্মরত দুই সেনা সদস্য ও একজন পুলিশ সদস্যের বিষয়ে সেনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে ফরিদ ও মিজানকে তাদের হেফাজতে নেয়া হয়। স্থানীয় মাইক্রোবাস মালিক সমিতির একজন নেতা জানিয়েছেন, আটকরা দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে ভাড়া নেওয়া মাইক্রোবাস ব্যবহার করে ‘ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি’ করতেন।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ জানিয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জড়িত থাকায় পুলিশ প্রশাসন বিব্রত। আটককৃতদের মামলার আসামি হিসেবে আদালতে তোলা হবে।