ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের নির্বাচনকে ঘিরে বার বার উচ্চারিত হচ্ছে বাংলাদেশিদের নাম। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ বিজেপির সব নেতা বলে আসছেন, ঝাড়খণ্ডে অনেক অনুপ্রবেশকারী মুসলিম বাংলাদেশি আছেন। তারা অবৈধভাবে সেখানে থাকছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন ‘অবৈধ’ বাংলাদেশি মুসলিমরা। খবর আল জাজিরার।
ঝাড়খণ্ডের এই নির্বাচনে কথিত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের নিয়ে সর্বোচ্চ নির্লজ্জতা দেখিয়েছে বিজেপি। তারা নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি ভিডিও তৈরি করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের একটি সাজানো গোছানো বাড়িতে বসে খাবার খাচ্ছেন ঘরটির বাসিন্দারা। ওই সময় দরজায় কলিং বেল বেজে ওঠে। তখন বাড়ির এক লোক দরজা খোলার পর দেখতে পান মাথায় টুপি দেওয়া প্রাপ্ত বয়স্ক অনেক মানুষ, কিছু নারী ও অসংখ্য শিশু দাঁড়িয়ে আছে। তারা ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ছে এবং বাড়িটি নোংরা করছে। ওই সময় বাড়ির ভেতর অনুপ্রবেশকারীদের শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে এমন দৃশ্যও দেখানো হয়। এর মাধ্যমে মূলত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বোঝানো হয়েছে। যাদের নোংরা হিসেবে বোঝানো হয়েছে। যারা বাংলাদেশ থেকে ঝাড়খণ্ডে গিয়ে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট করছে।
ভিডিওটির শেষ দিকে দুই ব্যক্তিকে ওই বাড়ির লোককে বলতে শোনা যায়, আপনারা যে সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছেন তারাই এই অনুপ্রবেশকারীদের এনেছে। তাহলে কেন শুধুমাত্র তাদের বস্তিগুলো নোংরা থাকবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাড়িগুলোও নোংরা হওয়া দরকার। ভিডিও’র শেষে এসব দূরীকরণে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলা হয়।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভিডিওর মাধ্যমে মূলত মুসলিম এবং বাংলাদেশিদের হেয় করা হয়েছে। ভিডিওটি অত্যন্ত কূরুচিপূর্ণ হওয়ায় ভারতের নির্বাচন কমিশন এটি বিজেপির প্রচারণা থেকে বাদ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।