মুন্সিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সত্তরোর্ধ্ব আয়েশা বেগমের (৭৬) সকল দায়িত্ব নিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান।
মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়েশা বেগমকে একটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয় মিরকাদিম পৌরসভা এলাকায়। তবে, ঘরে উঠার মতো শারিরীক অবস্থা না থাকায় পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে উঠবেন তিনি। এছাড়াও ওই নারী তাঁর সুবিধাজনক এলাকার কথা বলেছেন, প্রশাসন সেখানেও ঘরের ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
এছাড়া আজ ওই ভিক্ষুক নারীকে নগদ দশ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে আয়েশা বেগমের প্রয়োজনীয় সকল ঔষধ-পত্রের ব্যবস্থা করা হবে সরকারিভাবে।
আয়েশা বেগম সুস্থ হওয়া সাপেক্ষে ভিন্ন কোন পেশায় পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে দোকান বা অন্য যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান।
প্রসঙ্গত; গত ৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে মানিকপুর এলাকায় বা পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ভিক্ষুক আয়েশা বেগম (৭৬)। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা অবহেলায় সেসময় বিষয়টি ধরা না পড়লেও ঘটনার ৩ মাস পর গত ১৭ নভেম্বর এক্সরে পরীক্ষায় দেখা যায়- ওই নারীর পায়ে বুলেট রয়ে গেছে।
ওই নারী ৩ মাস ধরে পায়ে বুলেট নিয়ে ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন মর্মে গত ২০ নভেম্বর প্রতিবেদন করে আমার বিক্রমপুর। ২১ নভেম্বর আরেক সংবাদে উল্লেখ করা হয় ওই নারী ভিক্ষুকের দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ।
আয়েশা বেগমের স্বামী ও সন্তান কেউ-ই নেই। বাড়ি চাঁদপুরে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে স্বামী লতিফ সরদারের মৃত্যুর পর প্রায় এক যুগ আগে মুন্সিগঞ্জ শহরে চলে আসেন তিনি। বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। স্বামী-সন্তান ছাড়া বয়সের ভারে ন্যুব্জ আয়েশা বেগমকে এতদিন পায়ে বুলেট নিয়েই ভিক্ষা করতে বের হতে হয়েছে।
-সংগৃহীত