মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার রাউৎভোগ গ্রামে মাইকে ঘোষণা দিয়ে এবং পরে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৫ ফুট লম্বা একটি বিশাল মেছোবাঘ হত্যা করেছে স্থানীয় জনগণ। হত্যার পর মেছোবাঘের মৃতদেহ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে উল্লাসের খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাঘটিকে হত্যার পর এলাকাবাসী আনন্দ প্রকাশ করে এবং পরে সেটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলে।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন ধরে দুটি মেছোবাঘ টঙ্গিবাড়ী উপজেলার রবনগর কান্দি ও রাউৎভোগ এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। কয়েকদিন আগে একটি বাঘ রবনগর কান্দি এলাকায় একটি ছাগলের বাচ্চা ধরে নিয়ে যায়। এছাড়া বাঘগুলোর গর্জনে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বুধবার সন্ধ্যায় রাউৎভোগ এলাকায় বাঘের গর্জন শুনে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে জড়ো করা হয়।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাউৎভোগ গ্রামের কাদের মেম্বারের বাড়ির সামনে বাঘটিকে ঘিরে ফেলে এলাকাবাসী। তবে বাঘের গর্জনে সামনে গিয়ে আক্রমণ করতে কেউ সাহস পাচ্ছিল না।
টঙ্গিবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী শাহিন জানান, “বুধবার রাত ৭টার দিকে বাঘটিকে ঘিরে রাখার সময় দূর থেকে এক যুবক টেটা ছুড়ে মারলে সেটি বাঘের শরীরে বিদ্ধ হয়। আহত বাঘটি টেটা ভেঙে পুকুরে লাফ দেয় এবং পরে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাদের মেম্বারের বাড়ির পাশে পানের বরজে বাঘটিকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয়রা গিয়ে পিটিয়ে বাঘটিকে মেরে ফেলে।”
তিনি আরও বলেন, বাঘটিকে মেরে ফেলার পর বন বিভাগের লোকজন এলাকাবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে যেন ভবিষ্যতে কোনো বন্যপ্রাণী দেখলে মেরে না ফেলে, বরং তাদের খবর দেয়।