২০২২ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। দুই বছর পর আবারও দুই দল মুখোমুখি। তবে এবার ফাইনাল নয়, সেমিফাইনালে। আগামীকাল সোমবার ট্রফি ছোঁয়া দূরত্বে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। বিকাল সোয়া ৩টায় কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ের ক্ষুধা দেখছেন বাংলাদেশ কোচ।
এদিকে আজ রবিবার প্রথম সেমিফাইনালে নেপাল টাইব্রেকারে ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুরুর পর নেপালের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়েছিল। অন্যদিকে ভুটান ও মালদ্বীপকে একই ব্যবধানে (১-০) হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপের সেরা হয় ভারত।
সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ কোচ মারুফুল হক আজ বলেছেন, ‘গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে যখন আমরা হেরে গিয়েছিলাম (নেপালের কাছে), তখনই ধরে নিয়েছিলাম, সেমিফাইনালে হয়তো ভারতের মুখোমুখি হতে হবে। সেটাই হয়েছে। ওদের বিপক্ষে আগামীকাল সেমিফাইনাল খেলবো। আমরা একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিলাম নেপালে এবং আমি মনে করি, গ্রুপ পর্বের ওই হারের পর গত দুই দিনে ছেলেদের যে মনোভাব, নিবেদন এবং ভারতের বিপক্ষে জয়ের যে ক্ষুধা আমি দেখেছি, সেটা যদি মাঠে ধরে রাখতে পারে, তাহলে আশা করি, ভারতকে হারিয়ে ফাইনাল খেলতে পারবো আমরা।’
বাংলাদেশ দলের গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণও আশাবাদী, ‘তিন দিন সময় পেয়েছি, একদিন বিশ্রাম ছিল, দুই দিন অনুশীলন করেছি। ভারত ম্যাচ সামনে রেখে কোচ নতুন ট্যাকটিকস অবলম্বন করবেন। কোচের ট্যাকটিকস অনুযায়ী খেললে ভালো একটা রেজাল্ট নিয়ে মাঠ থেকে ফিরতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।’
প্রতিপক্ষ ভারতকে নিয়ে সাবধানী সুর বসুন্ধরা কিংস গোলকিপারের, ‘ভারত সবসময় আমাদের শক্ত প্রতিপক্ষ। দেশবাসী এবং আমরা সবসময় চাই ভারতের বিপক্ষে জিততে। আগামীকালও জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবো। মাঠে আবেগপ্রবণ হওয়া যাবে না। আমরা চাইবো, কোচের কৌশল অনুযায়ী খেলতে, আবেগ দিয়ে নয়।’
-সংগৃহীত