নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আলু ও পেঁয়াজের দাম কমাতে আমদানি শুল্কহ্রাস করেছে সরকার। সেই সঙ্গে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় কীটনাশক আমদানিতেও শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক প্রজ্ঞাপনে শুল্কহ্রাসের কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আলু আমদানিতে যে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে, তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে পেঁয়াজের ওপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে কীটনাশকের ওপর প্রযোজ্য ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং তার সঙ্গে সব নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তবে এই শুল্কছাড় সাময়িক সময়ের জন্য। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আলু ও পেঁয়াজের সিংহভাগ চাহিদা অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাধ্যমে মেটানো হয়। আমদানি শুল্কহার কম থাকলে দেশীয় উৎপাদকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া অব্যাহত রাখতে এই শুল্কহ্রাস আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এনবিআরের এই ব্যবস্থার কারণে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে বলে এনবিআর আশাবাদী। এ ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।