• রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
Headline
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরে মাছ বোঝাই পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আহত ১ অগ্নিকাণ্ডে হেলপার শাহাবীরের মৃত্যু: আট মাসেও ক্ষতিপূরণ সম্পূর্ণ পায়নি তার অসহায় পরিবার টঙ্গীবাড়িতে ডাবল অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লাভলু খান গ্রেফতার ইতালি যাওয়ার পথে আটকে গেল মুন্সীগঞ্জের আদরের বিড়াল ‘ক্যান্ডি’ গজারিয়ায় লঞ্চ থেকে এক হাজার কেজি জাটকা উদ্ধার সিরাজদিখানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান, তিন দোকানিকে জরিমানা মুন্সীগঞ্জে অটোচালক মজিবল মাঝি হত্যা: ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন গ্রেপ্তার, উদ্ধার অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন মুন্সীগঞ্জ মেট্রোরেলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যোগাযোগ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান মুন্সীগঞ্জে আদালতের নির্দেশে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল ধ্বংস মধুপুরে বাঁশ-বেত শিল্পে স্বনির্ভরতা, বিদেশে যাচ্ছে স্থানীয় পণ্য মুন্সীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৪০টি ককটেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু বৃষ্টিতে শঙ্কায় মুন্সীগঞ্জের কোটি টাকার সবজি চারা ব্যবসা টঙ্গীবাড়ীতে বিদ্যালয়ের মাঠ ডুবে মাছ চাষ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ, লৌহজংয়ে ১০ পরিবার অবরুদ্ধ মুন্সীগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট সালমান শাহ: বাংলা সিনেমার যুবরাজ ও বিক্রমপুরের অবদান শ্রীনগরে র‍্যাব ও পুলিশের ছদ্মবেশে ডাকাতির অভিযোগ: অভিযুক্তরা গ্রেফতার ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু, চলাচল বন্ধ লৌহজংয়ে পদ্মা নদীর তীরে কুমির আতঙ্ক, এলাকাবাসীর চাঞ্চল্য

পদ্মার ভাঙনে হুমকির মুখে শতাধিক পরিবার ও ধর্মীয় স্থাপনা

Reporter Name / ১৯ Time View
Update : বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মার প্রবল স্রোতে মুন্সিগঞ্জের গাঁওদিয়া ইউনিয়নের হাড়িদিয়া পশ্চিমপাড়া শিমুলবাড়ি এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বহু জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, শতাধিক বাড়িঘর ও একটি মসজিদ ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। আতঙ্কে দুই শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। প্রতিবছরই আড়াই লাখ মানুষের এ উপজেলায় পদ্মার ভাঙন নতুন ক্ষত তৈরি করছে।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কান্দাবাড়ি, সরিষাবন, দিঘিরপাড় এবং সদর উপজেলার শম্ভুকান্দি, শিলইসহ বিভিন্ন এলাকাতেও ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। লৌহজংয়ের হাড়িদিয়া ও গাঁওদিয়া গ্রামে কয়েক বছর ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয়নি। এ কারণে গত দুই বছরে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষাকালে অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও কয়েক মাস পর ভাঙন আবার শুরু হয়।

হাড়িদিয়া পশ্চিমপাড়ার আল-মদিনা জামে মসজিদ এখন ভাঙনের সবচেয়ে ঝুঁকিতে। ইতিমধ্যে অজুখানায় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে এবং মসজিদের ভেতরেও ফাটল ধরেছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, একসময় শতাধিক খুঁটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু স্রোতে সেগুলো ভেসে গেছে। বর্তমানে অল্প কিছু খুঁটি টিকে আছে। অনেক পরিবার জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙনরোধে কাজের অগ্রগতি খুবই ধীর। বর্ষা এলেই সাময়িক উদ্যোগ নেওয়া হয়, কিন্তু টেকসই বাঁধ নির্মাণের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। এ বিষয়ে গাঁওদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান টিটু শিকদার বলেন, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভাঙনে অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিনও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

অন্যদিকে সদর উপজেলার শম্ভুকান্দি, মহেশপুর ও সরদারকান্দি এলাকায়ও পদ্মার ভাঙনে হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। দুর্গাপূজার আগে তাদের মধ্যে কোনো উৎসবের আমেজ নেই, বরং ভিটেমাটি রক্ষার চিন্তাই প্রধান হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে বহু পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে।

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত রেখা মল্লিক বলেন, “ঘরটা থাকবে কিনা সেই চিন্তায় দিনরাত কাটছে। পূজা করার আনন্দ কোথায়?” একইভাবে মলিন রায় অভিযোগ করেন, বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, কাজ চলছে তবে পানি বেশি থাকায় বর্তমানে ড্রাম্পিং করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি কমলেই পুনরায় কাজ শুরু করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা