• রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
Headline
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরে মাছ বোঝাই পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আহত ১ অগ্নিকাণ্ডে হেলপার শাহাবীরের মৃত্যু: আট মাসেও ক্ষতিপূরণ সম্পূর্ণ পায়নি তার অসহায় পরিবার টঙ্গীবাড়িতে ডাবল অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লাভলু খান গ্রেফতার ইতালি যাওয়ার পথে আটকে গেল মুন্সীগঞ্জের আদরের বিড়াল ‘ক্যান্ডি’ গজারিয়ায় লঞ্চ থেকে এক হাজার কেজি জাটকা উদ্ধার সিরাজদিখানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান, তিন দোকানিকে জরিমানা মুন্সীগঞ্জে অটোচালক মজিবল মাঝি হত্যা: ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন গ্রেপ্তার, উদ্ধার অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন মুন্সীগঞ্জ মেট্রোরেলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যোগাযোগ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান মুন্সীগঞ্জে আদালতের নির্দেশে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল ধ্বংস মধুপুরে বাঁশ-বেত শিল্পে স্বনির্ভরতা, বিদেশে যাচ্ছে স্থানীয় পণ্য মুন্সীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৪০টি ককটেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু বৃষ্টিতে শঙ্কায় মুন্সীগঞ্জের কোটি টাকার সবজি চারা ব্যবসা টঙ্গীবাড়ীতে বিদ্যালয়ের মাঠ ডুবে মাছ চাষ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ, লৌহজংয়ে ১০ পরিবার অবরুদ্ধ মুন্সীগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট সালমান শাহ: বাংলা সিনেমার যুবরাজ ও বিক্রমপুরের অবদান শ্রীনগরে র‍্যাব ও পুলিশের ছদ্মবেশে ডাকাতির অভিযোগ: অভিযুক্তরা গ্রেফতার ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু, চলাচল বন্ধ লৌহজংয়ে পদ্মা নদীর তীরে কুমির আতঙ্ক, এলাকাবাসীর চাঞ্চল্য

নতুন রূপে জেগে উঠেছে টংগিবাড়ীর ঐতিহাসিক সোনারং জোড়া মঠ

Reporter Name / ১৮ Time View
Update : শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

দীর্ঘ নীরবতার পর আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী প্রত্ননিদর্শন সোনারং জোড়া মঠ। এক সময় জরাজীর্ণ ও ভগ্নপ্রায় অবস্থায় থাকা অষ্টাদশ শতাব্দীর এই স্থাপনাটি সংস্কারের পর এখন নতুন রূপে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। মঠ দু’টির গায়ে সাদা ও পোড়ামাটির রঙের মেলবন্ধন, দেয়ালে নান্দনিক কারুকাজ আর চারপাশের সবুজ পরিবেশ—সব মিলিয়ে এটি যেন আবারও অতীতের গৌরব ফিরিয়ে এনেছে।

প্রতিদিনই এখানে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ—কেউ জানতে চান ইতিহাস, কেউবা উপভোগ করতে আসেন মনোরম পরিবেশ। যদিও এটি “জোড়া মঠ” নামে পরিচিত, আসলে এটি দুটি মন্দিরের সমন্বয়ে গঠিত। একটি প্রস্তরলিপি থেকে জানা যায়, স্থানীয় রূপচন্দ্র নামের এক হিন্দু ব্যক্তি বড় কালীমন্দিরটি ১৮৪৩ সালে এবং ছোট শিবমন্দিরটি ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করেন। বড় মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১৫ মিটার, এবং উপাসনালয়ের সামনের বারান্দার দৈর্ঘ্য বড় মঠে ১.৯৪ মিটার ও ছোটটিতে ১.৫ মিটার।

মঠের সামনে রয়েছে একটি বড় পুকুর, যা সম্ভবত বড় মন্দির নির্মাণের সময়ই খনন করা হয়েছিল। এই পুকুর ও আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মঠের নান্দনিকতাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। সংস্কারের পরও মঠের পুরোনো গঠন ও নকশা অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় সে সময়ের শিল্পরীতি ও স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য।

ইতিহাস ও প্রকৃতির এক অপূর্ব সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এই স্থান এখন টিয়া পাখির কলরবে আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে অবস্থিত এই প্রত্ননিদর্শন শুধু একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং বাংলার স্থাপত্য ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল প্রতীক। সংস্কারের পর সোনারং জোড়া মঠ আজ নতুন প্রজন্মের জন্য ইতিহাস জানার এক অনন্য গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা