• শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
Headline
আগামী ৭ দিনে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই: আবহাওয়া অধিদফতর দেশের সবাই সমান: গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ মুন্সীগঞ্জ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নতুন কমিটি ঘোষণা রাষ্ট্র সংস্কার ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ার আহ্বান: নুরুল হক নুর টঙ্গিবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ডে পোলট্রি ফার্ম ও বসতঘর পুড়ে ছাই, ক্ষতি ৭ লাখ টাকা মুন্সীগঞ্জ আদালতে হাজতখানা লাইব্রেরি উদ্বোধন মাইকে ঘোষণা দিয়ে টঙ্গিবাড়ীতে মেছোবাঘ হত্যা, এলাকাবাসীর উল্লাস ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট মুক্ত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র প্রয়াত শ্রীনগরে শীত কালীন সবজি চাষে লাভবান কৃষক আমিরের রেকর্ড ভেঙে বিপিএলের ইতিহাস সেরা বোলিং তাসকিনের মুন্সিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় জামায়াত নেতা কারাগারে সিরাজদিখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে ইটভাটাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা মুন্সিগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না শনিবার ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টি হবে : আবহাওয়া অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ বাসে দেওয়া হচ্ছে তরুণ-তরুণীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শ্রীনগরে পরিত্যক্ত পুকুর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার মেঘনা নদীতে বালু চোরাচালানের প্রতিবাদে মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জের আতঙ্কের অধ্যায়ের সমাপ্তি

চাহিদামতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না, উৎপাদনে ধাক্কা

Reporter Name / ৩২ Time View
Update : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

মুন্সিগঞ্জে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বিভিন্ন শিল্পকারখানার মালিকেরা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাসের পর মাস বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে। একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিসিক শিল্পনগরীর প্রতিষ্ঠানও।

মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট বিদ্যুতের চাহিদা ১৭৫ থেকে ১৮০ মেগাওয়াট। তবে গরম মৌসুমে চাহিদার বিপরীতে এ জেলায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে ২০ থেকে ৩০ ভাগ বিদ্যুতের ঘাটতি থাকে। গত দুই দিনে ঘাটতির পরিমাণ ২০ থেকে ৪০ ভাগে এসে ঠেকেছে। অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এতে ২৪ ঘণ্টায় এলাকাভেদে ২ থেকে ৫ ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

মুন্সিগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর অধীন জেলায় ৫৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ছিল। গত কয়েক বছরের তীব্র অর্থনৈতিক মন্দা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংকটের কারণে ৮ থেকে ১০টি প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। পাঁচ–ছয়টি প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চরছে। কয়েকটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ বিসিকের উপব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংকটের কারণে বিসিক শিল্পনগরীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং কয়েকটি আংশিক বন্ধ হয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে হলে, শিল্পনগরী বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের প্রয়োজন। এখনই বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা না গেলে মুন্সিগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরী মুখ থুবড়ে পড়বে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিসিক শিল্পনগরীর মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, অনেকটা অলসভাবেই বসে আছেন নিরাপত্তাকর্মী মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিন বছর আগে তিনি পাহারাদারের কাজ নেন। সে সময় শিল্পনগরী দিনভর কর্মচঞ্চল ছিল। শত শত মানুষ ও মালবাহী যানবাহনের আনাগোনা ছিল। এখন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অভাবে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, যার কারণে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে।

বাণিজ্যিক এই এলাকার হাওলাদার ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটরের সাহায্যে প্রতিষ্ঠানের কাজ চলছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও বিসিক শিল্পনগরীর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন বলেন, কারখানা চালাতে প্রতি মাসে লাইনের গ্যাস ও বিদ্যুৎ মিলিয়ে তিন লাখ টাকার জ্বালানি খরচ হতো। ঘন ঘন লোডশেডিং ও লাইনের গ্যাসে চাপ না থাকায় সাত থেকে আট লাখ টাকার সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে হচ্ছে। জেনারেটরে লাখ টাকার তেল পুরতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন খরচ চার-পাঁচ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। গত দুই বছরে ৩০ ভাগ উৎপাদন কমে গেছে। প্রতি মাসে তাঁকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। চাহিদামতো বিদ্যুৎ না থাকায় হাওলাদার ফিশিং নেট কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আকবর হোসেন।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা