• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
Headline
মুক্তারপুর সেতুর টোল কমানোর দাবি মুন্সিগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান মুন্সিগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিলেন তারেক রহমান তৃতীয়বারের মত মুন্সিগঞ্জে আন্দোলনে নিহত ৩ পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে প্রশাসন ফেরিঘাট থেকে চাঁদা তোলায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে বরণ করা হলো শান্তদের মুন্সিগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ চোখে কাজল, লেন্স ও আইশ্যাডো ব্যবহারের আগে জেনে নিন এই ৭ বিষয় আলু–পেঁয়াজের শুল্ক কমিয়েছে এনবিআর শেষ পর্যন্ত বাতিল হচ্ছে এমপিদের ‘ইচ্ছে পূরণের প্রকল্প’ নতুন রানি পেল নিউজিল্যান্ডের মাওরিরা সাবেক সংসদ সদস্যদের ‘গাড়িবিলাস’: ব্যারিস্টার সুমন কিনেছেন সবচেয়ে দামিটি, দ্বিতীয় সাকিব ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ অধীন নির্বাচনের পরামর্শ দিয়ে পদত্যাগ করলেন হাবিবুল আউয়াল ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ১৯৮ বিশ্বনেতার শহীদ পরিবারের দায়িত্ব সরকারের : উপদেষ্টা নাহিদ উপাচার্যের পদত্যাগ ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ফের হামলার ভয়ে হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে পারেনি সাইফুল কৃষিজমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবিতে জমির মালিকদের বিক্ষোভ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তার আহ্বান সিরাজদিখানে চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করায় হামলা আহত ৩জন, থানায় অভিযোগ

চাহিদামতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না, উৎপাদনে ধাক্কা

Reporter Name / ৭ Time View
Update : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

মুন্সিগঞ্জে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বিভিন্ন শিল্পকারখানার মালিকেরা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাসের পর মাস বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে। একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিসিক শিল্পনগরীর প্রতিষ্ঠানও।

মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট বিদ্যুতের চাহিদা ১৭৫ থেকে ১৮০ মেগাওয়াট। তবে গরম মৌসুমে চাহিদার বিপরীতে এ জেলায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে ২০ থেকে ৩০ ভাগ বিদ্যুতের ঘাটতি থাকে। গত দুই দিনে ঘাটতির পরিমাণ ২০ থেকে ৪০ ভাগে এসে ঠেকেছে। অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এতে ২৪ ঘণ্টায় এলাকাভেদে ২ থেকে ৫ ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

মুন্সিগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর অধীন জেলায় ৫৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ছিল। গত কয়েক বছরের তীব্র অর্থনৈতিক মন্দা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংকটের কারণে ৮ থেকে ১০টি প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। পাঁচ–ছয়টি প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চরছে। কয়েকটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ বিসিকের উপব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংকটের কারণে বিসিক শিল্পনগরীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং কয়েকটি আংশিক বন্ধ হয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে হলে, শিল্পনগরী বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের প্রয়োজন। এখনই বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা না গেলে মুন্সিগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরী মুখ থুবড়ে পড়বে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিসিক শিল্পনগরীর মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, অনেকটা অলসভাবেই বসে আছেন নিরাপত্তাকর্মী মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিন বছর আগে তিনি পাহারাদারের কাজ নেন। সে সময় শিল্পনগরী দিনভর কর্মচঞ্চল ছিল। শত শত মানুষ ও মালবাহী যানবাহনের আনাগোনা ছিল। এখন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অভাবে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, যার কারণে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে।

বাণিজ্যিক এই এলাকার হাওলাদার ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটরের সাহায্যে প্রতিষ্ঠানের কাজ চলছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও বিসিক শিল্পনগরীর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন বলেন, কারখানা চালাতে প্রতি মাসে লাইনের গ্যাস ও বিদ্যুৎ মিলিয়ে তিন লাখ টাকার জ্বালানি খরচ হতো। ঘন ঘন লোডশেডিং ও লাইনের গ্যাসে চাপ না থাকায় সাত থেকে আট লাখ টাকার সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে হচ্ছে। জেনারেটরে লাখ টাকার তেল পুরতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন খরচ চার-পাঁচ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। গত দুই বছরে ৩০ ভাগ উৎপাদন কমে গেছে। প্রতি মাসে তাঁকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। চাহিদামতো বিদ্যুৎ না থাকায় হাওলাদার ফিশিং নেট কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আকবর হোসেন।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা