ফারাক্কার সবকটি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এতে দেশটির পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো।
তবে আপাতত বন্যা ঝুঁকির তালিকায় নেই মুন্সিগঞ্জ। এই জেলার উত্তর-পশ্চিমে ধলেশ্বরী, দক্ষিণে পদ্মা ও পূর্বে মেঘনা নদী। চারপাশ থেকে নদীবেষ্টিত হওয়ায় দেশের ১১ টি জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত রয়েছেন নাগরিকরা। বিশেষ করে আজকে ফারাক্কার সবকটি গেট খুলে দেয়ার খবর প্রকাশিত হলে তাদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি আজ সোমবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিপৎসীমার অনেক নিচে রয়েছে। তবে মেঘনা নদীর পানি কিছুটা উচ্চতায় রয়েছে। কিন্তু সেটি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মত ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
আজ সোমবার ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি।
জানা গেছে, ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফারাক্কা বাঁধে পানির অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে পানি বেশি হওয়ায় তা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধের অবস্থান। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ১৯৬২ সালে এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধের কাজ শেষ হয় ১৯৭০ সালে। ফারাক্কা বাঁধের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল।
-সংগৃহীত