গজারিয়ায় বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি নামে একটি বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে কোটি টাকার উপরে আত্মসাৎয়ের অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ভুক্তভোগীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের কাছে প্রতিকারের দাবিতে লিখিত দেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনকারীরা বলেন, বীমা কোম্পানিটি বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে প্রায় ১৬ বছর আগে কার্যক্রম শুরু করে। অধিক মুনাফা পাওয়ার আশায় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা ওই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মেয়াদে বীমার হিসাব খোলেন। প্রতি মাসে ডিপিএসের টাকা জমা দেয়ার পর নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে গ্রাহকরা সুদসহ তাঁদের আমানতের টাকা চাইতে গেলে বায়রা লাইফ ইনসুরেন্সের গজারিয়া শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে শুরু করে। অনেক গ্রাহককে আমানতের টাকা দেয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে ডিপিএসের মূল বই ও টাকা জমা দেযার রশিদ পর্যন্ত জমা নেন। তাঁর দেয়া কথামতো ওই সমস্ত গ্রাহকরা টাকা চাইতে গেলে তাঁদের নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। এছাড়া গত ৫-৬ মাস ধরে ওই কোম্পানির গজারিয়া শাখার কার্যক্রম হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই কোম্পানির কয়েক শত গ্রাহক বীমার টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে বড় রায়পাড়া গ্রামে গজারিয়া শাখা চালু করে বেসরকারি জীবন বীমা খাতের কোম্পানি বায়রা লাইফ। শাখাটির প্রধান দায়িত্বে থাকা হালিম মৃধা ওই শাখায় বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা ও মাঠ কর্মী নিয়োগ করে কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর দ্বিগুণ লাভ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শতশত পলিসি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন তারা। ২০২৩ সাল থেকে ওই শাখা অফিসে তালা ঝুলিয়ে গ্রাহকদের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে পড়েছেন কোম্পানির গজারিয়া শাখার এরিয়া ম্যানেজার হালিম মৃধাসহ অন্য কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির তৎকালীন এরিয়া ম্যানেজার হালিম মৃধা বলেন, সাধারণ মানুষ না বুঝে, সেই সাথে অধৈর্য হয়ে আমাকে অভিযুক্ত করছেন। আমি গ্রাহকের টাকা কোম্পানীর নিয়ম মাফিক অফিসে জমা দান করি। কিন্তু মেয়াদ পূর্ণ হলেও এখন কোম্পানি টাকা দিচ্ছে না, আমি নিজেও এই মুহুর্তে অসহায় বোধ করছি।
এ বিষয়ে জানতে বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রকল্প ম্যানেজার মিজানুর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
-সংগৃহীত